মুশফিকুর রহমান নিভৃতচারী ও সংস্কৃতিপ্রেমী লেখক শাহানাজ ইয়াসমিন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর কবিতা, গল্প ও উপন্যাস দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও পাঠকের হৃদয় ছুঁয়েছে। উপন্যাসে দুই বাংলার কথা উঠে আসায় আলোচিত ও পাঠককুলে তিনি অনন্য। সহজাত সারল্যেও সাথে অসামান্য দৃড়তার মেলবন্ধনের এক বিচিত্র প্রয়াস। তিনি আদর্শিক। প্রগতিশীল। সৃজন ও মননপ্রয়াসী। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘গহিনের প্রেম’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নৈঃশব্দ্যের কোলাহল’। এরপর তিনি একে একে বেশ কয়েকটি উপন্যাস লিখেন। কাব্যগ্রন্থের পর তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল ‘মেঘলা আকাশ’। উপন্যাসটি পশ্চিম বাংলার কলকাতায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তিনি কলকাতার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘অনিন্দ্য প্রকাশ’ থেকে। সমুদ্রের তরি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস এবং ভালোবাসা ছুঁয়ে গেলে তৃতীয় উপন্যাস। তাঁর লেখা এই বইগুলি নির্দ্বিধায় পাঠক মন ছুঁয়ে গেছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪ তাঁর সাত নম্বর কেবিন উপন্যাসটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এই উপন্যাসটির মূল কাহিনীর সৃষ্টিই হয়েছে ডাক্তার, নার্স রোগী ও হাসপাতাল কেন্দ্রিক। তাই অত্যন্ত বিচক্ষনতার সহিত লেকখ তাঁর বইটির নাম দিয়েছেন সাত নম্বর কেবিন। দুঃখ, বেদনা, আনন্দ, রহস্য এই সমস্ত কিছুরই মিশ্রণ রয়েছে বইটিতে। এছাড়াও নব্বইয়ের দশকে মুঠেফোনের প্রচলন ছিল না বললেই চলে। দূর থেকে প্রিয়জনের খবর ও কুশলাদি জানার বা জানানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি অথবা টিএন্ডটি ফোন। জরুরি কোনো সংবাদ জানানোর জন্য ছিল ট্রাঙ্কল সংযোগ। সে সময়ে মানুষ হাতে লেখা একটি চিঠির রেশ বয়ে বেড়াতো মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ছিল ডাকপিয়নের অপেক্ষা। খাকি পোশাক পরা ডাকপিয়ন ভাইটি কাঙ্খিত ব্যক্তির চিঠি এনে কবে কখন দরজায় কড়া নাড়বে, সেই অপেক্ষায় স্থির থাকত কর্ণযুগল! এই সমস্ত কিছুর সমন্বয়ে রচিত সাত নম্বর কেবিন উপন্যাসটি। আশাকরি কবি ও ঔপন্যাসিক শাহানাজ ইয়াসমিন-এর সাত নম্বর কেবিন উপন্যাসটি এবারও পাঠক মহলে তুমুল সমাদৃত হবে, আমরা নিশ্চিত। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছেন ‘আহমদ পাবলিশিং হাউস। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
|