☰ |
|
আন্তর্জাতিক |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক এর আগে সাবেক সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছিল তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি। জানা গেছে, মস্কোর নোভোডেভিচি কবরস্থানে স্ত্রী রাইসার পাশে সমাহিত করা হবে তাকে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন গর্বাচেভ। প্রবাদপ্রতীম কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের গড়া সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে পড়লে আলাদা আলাদা ১৫টি জাতিরাষ্ট্র গড়ে ওঠে, তার মধ্যে বড়টি হল আজকের রাশিয়া। গর্বাচেভ এমন সময় মারা গেলেন যখন রাশিয়া ইউক্রেনে তার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে এবং মস্কো-পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন পুতিন। গর্বাচেভের মৃত্যুতে পুতিন শোক জানিয়েছেন বলে জানায় ইন্টারফ্যাক্স। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে বিশ্বব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আসে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্য দিয়ে। কমিউনিস্ট শাসিত রাশিয়া যাত্রা করে এক দলীয় ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রের দিকে। এ ঘটনার পেছনের ব্যক্তিটি ছিলেন গর্বাচভ। তবে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ অনেক কমিউনিস্টের কাছে কাছে খলনায়ক বিবেচিত হলেও গণতন্ত্রকামী বিশ্ববাসীর কাছে নায়ক হিসেবেই পরিচিত। দুই জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের ক্ষেত্রেও তার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে গর্বাচেভকে দেখে এসে অর্থনীতিবিদ রুসলান গিনবার্গ বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। তবে আমরা বুঝতে পারিনি, এ পথে কীভাবে চলতে হয়।’ |
আন্তর্জাতিক |
সর্বশেষ |
xxxxxxxxxxxxxxxxx |