বিনোদন ডেস্ক ‘এটি আনন্দের ব্যাপার। দেরিতে হলেও যে পুরস্কার পাচ্ছি তা নিঃসন্দেহে এটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। ক্যারিয়ারে আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু আজীবন সম্মাননা সত্যি অন্যরকম।’ আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুচন্দা। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না চলচ্চিত্রে কোনো অবদান রাখতে পেরেছি কিনা, সেটা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে, সামান্য কিছু হলেও আমি দিতে পেরেছি। যার জন্য আমাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।’ চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জল ও অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঘোষণা করা হয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’। এবার যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা ও চিত্রনায়িকা কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।
আজীবন সম্মাননা পাওয়ায় চিত্রনায়ক সোহেল রানাকে ‘শুভ কামনা’ জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। একসঙ্গে আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে উনার অনেক মজার স্মৃতি আছে। সর্ম্পকে উনি আমার দেবর, আমি তার ভাবি। এছাড়া আরেকটা মজার ব্যাপার আছে উনার আর আমার। সেটি যদি আপনি উনাকে কখনো জিজ্ঞেস করেন তাহলে জানতে পারবেন।’ উনি নাকি আপনাকে ‘ডিপ্লোমেট’ বলে ডাকেন? উত্তরে জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী হেসে বলেন, ‘আমি এটাই বলতে চেয়েছিলাম। বাকিরা আমাকে ‘আপা’, ‘নায়িকা’ বলে ডাকেন। কিন্তু একমাত্র হিরো যিনি আমাকে ‘ডিপ্লোমেট’ বলে ডাকেন, আজকে না বহু আগে থেকে। জানি না কেনো তিনি এ সম্বোধন দিয়েছেন আমাকে। তবে আমার ভালো লাগে। উনাকে আমি খুব পছন্দ করি ব্যক্তিগতভাবে। একসঙ্গে আজীবন সম্মাননা পাওয়াটা আমার জন্য আরেকটি আনন্দের সংবাদ।’ অভিনেত্রী সুচন্দার পুরো নাম কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। ষাটের দশকের তিনি চলচ্চিত্র পা রাখেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘কাগজের নৌকা’ সিনেমায় অভিনয় করে অভিষেক ঘটে তার। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন সুচন্দা। তিনি ঢালিউড অভিনেত্রী ববিতা ও চম্পার বড় বোন।
|