সাক্ষাতকার
পছন্দমত গল্প পেলে আমার কাজ করতে আপত্তি নেই: মেহজাবীন
  2, October, 2020, 5:05:19:PM

নান্দনিক অভিনয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে আসছেন ছোট পর্দার ‘সুপারস্টার’ মেহ্জাবীন চৌধুরী। গেল কয়েকবছর ধরেই তিনি রয়েছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। মাসের প্রায় ত্রিশ দিনই তাকে শুটিং করতে দেখা যায়। তবে করোনাকালীন সময়ে একটু বিরতি নিয়েই কাজ করছেন। একাধারে নাটক,টেলিফিল্মে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে আসন করে নিয়েছেন। নাটকের বাইরে প্রায়ই বিজ্ঞাপনে অংশ নেন। খুব বেশি না হলেও খুব বেছে কাজ করেন, যার কারণে কাজগুলো হয় বেশ প্রশংসিত। সম্প্রতি বাংলাদেশ জার্নালের বিনোদন বিভাগে কথা বলেন তিনি। জানান তার কর্মব্যস্ততা নিয়ে।

জাতীয় বাংলা : প্রথমেই সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই...

মেহ্জাবীন: ব্যস্ততা বলতে নাটক নিয়েই। এরমধ্যে বেশ কিছু নাটকের কাজ শেষ করেছি। সামনে পরিকল্পনানুযায়ী ডেট দেওয়া আছে যেই কাজগুলোর, সেগুলোই করবো। তবে করোনার কারণে আগের মত প্রায় প্রতিদিন কাজ করতে সাহস পাই না। তাও ভয়ে ভয়ে কাজ করি। আমি সবসময় কমিটমেন্টের জায়গাটা ঠিক রাখার চেষ্টা করি।

জাতীয় বাংলা: নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও আপনার জনপ্রিয়তা বেশ। কিন্তু বিজ্ঞাপনে কম দেখা যায় কেন আপনাকে?

মেহ্জাবীন: আমি আসলে বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করি। মানসম্মত গল্প, কনসেপ্ট পেলেই বিজ্ঞাপনে কাজ করার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি এমন কিছু করতে যেটা দর্শকরা পছন্দ করবে। আমার গত কয়েকটা বিজ্ঞাপন কিন্তু দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া পেয়েছে। আমি সেসসব বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাজ করি যার কারণে কম দেখা যায়।

জাতীয় বাংলা: প্রায়ই সিনেমার খবরের শিরোনাম হচ্ছেন মেহজাবীন। কিন্তু মেহজাবীনকে সত্যিকারভাবে কবে বড় পর্দায় দেখতে পাওয়া যাবে?

মেহ্জাবীন: এটা আসলে খুবই বিভ্রান্তিকর। প্রায়ই সময়ই দেখি আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সিনেমার নিউজ। অথচ দেখা যায় যেই সূত্রে এসব নিউজ হয় তাদের সাথে আমার কখনও কথা হয়নি কিংবা হলেও আমার পছন্দ হয়নি। আর সিনেমা করার যে ইচ্ছে নেই, তা না ঠিক! ব্যাটে বলে মিললেই হয়তো দেখা যাবে। তবে এখনই যে করতে হবে তাও না। আসলে এখন যেইপরিস্থিতি; এই সময়ে সিনেমা করাও সম্ভব না। আর আমি নিজেও জানিনা আদৌ সিনেমা করবো কিনা! তবে ভালো গল্প পেলে অবশ্যই করবো।

জাতীয় বাংলা: সম্প্রতি এক খবরের শিরোনামে দেখা গেলো আপনি সিনেমা করতে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে কি বলবেন?

মেহ্জাবীন: ওটা আসলে ঠিক নয়। আমি যেই কাজটি করতে যাচ্ছি এটা একটা টেলিফিল্ম; কোন সিনেমা নয়। এটার নাম ‘জায়া’। গল্পটার দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ মিনিট তাই এটাকে নাটকও বলা যাচ্ছে না। নাটক বলতে আমরা বুঝি ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের কাজকে। তবে এটি একটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে, আমি যতটুকু জানি। তবে এটি কোন সিনেমা নয়, এটি নিশ্চিত।

জাতীয় বাংলা: ‘জায়া’র শুটিং কবে থেকে শুরু হচ্ছে?

মেহ্জাবীন: আমি যতটুকু জানি আগামী অক্টোবর থেকেই এটার শুটিং শুরু হবে। এটি পরিচালনা করবেন শিহাব শাহীন আর আমার বিপরীতে আছেন আফরান নিশো।

জাতীয় বাংলা: মেহ্জাবীনকে বড় পর্দায় দেখার জন্য দর্শকরা মুখিয়ে আছেন। সিনেমার ক্ষেত্রে মেহ্জাবীনের বিবেচ্য বিষয় কি?

মেহ্জাবীন: অবশ্যই ভালো গল্প এবং ভালো নির্মাতা। এমন গল্প এবং চরিত্রে কাজ করতে চাই, যেভাবে দর্শক আগে আমাকে দেখেনি। চিরাচরিত রূপ নিয়ে সিনেমায় আসতে চাইনা। যখন নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার মত কিছু পাবো, তখনই সিনেমার জন্য রাজি হবো। নাটকে নানামাত্রিক গল্পে, চরিত্রে কাজ করছি। সিনেমায় গিয়ে যদি ভিন্ন কিছু দেখাতে না পারি তাহলে তো সেটা করে লাভ নেই। সেরকম পছন্দমত গল্প হলে আর ভালো নির্মাতা হলে হয়তো আমাকে পর্দায় দেখা যাবে।

জাতীয় বাংলা: সেক্ষেত্রে সহশিল্পী হিসেবে কাকে চাইবেন?

মেহ্জাবীন: আমার কাছে গল্পটাই মুখ্য। পছন্দমত গল্প পেলে নতুন কেউ হলেও আমার কাজ করতে আপত্তি নেই। নাটক আর সিনেমা দুইটাতে অনেক পার্থক্য। সিনেমা বলতে আমরা যেটা বুঝি নাচ,গান, ড্রামা সব মিলিয়ে একটা ফুল প্যাকেজ। তবে এখন সিনেমার আয়োজনেও নাটক বা ওয়েব ফিল্ম হচ্ছে। যেগুলো অনেক ওটিটি প্লাটফর্মে যাচ্ছে। কিন্তু পর্দার ব্যাপারটাই অন্যরকম। তাই নতুনত্ব নিয়েই আসতে চাই। সহশিল্পী নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই।



     সাক্ষাতকার
সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল ডিজি মইনুলের বয়ানে
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি আফ্রি
পছন্দমত গল্প পেলে আমার কাজ করতে আপত্তি নেই: মেহজাবীন
  সর্বশেষ
রাষ্ট্রপতির নিজ থেকে পদত্যাগ করা উচিত : জয়নুল আবেদীন
দুই দিনের রিমান্ডে নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরামুল
চলতি মাসেই বৈঠক হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সাথে
চাটখিলে ফুয়াদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধের অপচেষ্টা: শিল্প উপদেষ্টা
বরগুনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সামনেই হাতাহাতি, সভা পণ্ড
রক্তাক্ত বায়রা অফিস, ইসির বৈঠকে হামলা
মাজার ভাংচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা- প্রধান উপদেষ্টা
xxxxxxxxxxxxxxxxx