প্রতিবেদক কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস বণিক বার্তাকে বলেন, রাস্তাঘাটে মানুষজন মারা যাচ্ছেন। নিরীহ ছাত্ররা আহত হয়েছেন। সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার এক সহকর্মীর চোখে স্প্রিন্টার লেগেছে। একটি আন্দোলন থামানোর জন্য এটি সঠিক রাস্তা নয়।
কোটাসংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বণিক বার্তাকে বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে পরিস্থিতি সামলানো যাবে না। সরকারকে বলতে চাই এই মুহূর্তে এই ক্র্যাকডাউন বন্ধ করা উচিত। চলমান সহিংসতা ও হামলা বন্ধ করতে হবে। যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। কোটা সংস্কার বিষয়ে অনেক রকম মত থাকতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে জোর করে সহিংস অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়াটা দেশের জন্য ভয়াবহ অমঙ্গলজনক। সরকারকে এই হামলা থেকে পিছু হটতে হবে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো উপায় নেই।
তিনি আলো বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষও পাশে দাঁড়াচ্ছে। দোকানদাররা ফ্রি ওয়াইফাই দিয়ে, পানি সরবরাহ করে। সাধারণ নাগরিকরা শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তাদের বাসার দরজা খুলে দিচ্ছেন। এর মানে এটি আর ছাত্রদের আন্দোলন নেই। সহজে সমাধানযোগ্য বিষয়ে ছাত্রদের আন্দোলন সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়ার দায় পুরোপুরি সরকারের। এটি বাস্তবায়ন করার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের।
|