☰ |
|
আন্তর্জাতিক |
অনলাইন ডেস্ক ইরানের দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিগ্রাফকে এ বিষয়ে বলেছেন, ইব্রাহিম রাইসির জানাজার সময় ব্যাপক ভিড় থাকায় এবং সে সময় হানিয়া যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে ব্যাপক লোকসমাগম থাকায় তাঁকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি। তার বদলে এরপর যখন হানিয়া তেহরান সফরে যাবেন, সে সময় তিনি কোথায় অবস্থান করতে পারেন, সেই অনুমানের ওপর নির্ভর করে তিনটি কামরায় মোসাদের এজেন্টরা বোমা পেতে রেখেছিল। ইসমাইল হানিয়ে যে ভবনে ছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বোমা রাখার জন্য মোসাদের এজেন্টরা মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি কামরায় প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা তাদের পরিচয় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। দুই মাস আগে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন হানিয়াদুই মাস আগে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন হানিয়া হানিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে নিয়োজিত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিত, মোসাদ আনসার আল-মাহদি ইউনিট সুরক্ষা ইউনিট থেকেই তাদের এজেন্ট ভাড়া করেছিল।’ এই ইউনিটিই হানিয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘আমরা অধিকতর তদন্তে জানতে পেরেছি যে, হানিয়ার কামরা ছাড়াও তাঁরা আরও দুটি কামরায় বোমা পেতেছিলেন।’ আইআরজিসির অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উচ্চ নিরাপত্তাব্যূহ ভেদ করা ইরানের জন্য অনেক বেশি অপমানের।’ তিনি বলেন, ‘এটি এখনো সবার প্রশ্ন যে, কীভাবে এ ঘটনা ঘটতে পারল। আমি এখনো বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘উচ্চপর্যায়ে হয়তো এমন একটা কিছু হয়েছে, যা আমরা জানি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইআরজিসির প্রথম সূত্রটি বলেছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইআরজিসিতে দোষারোপের খেলা চলছে। আইআরজিসি কমান্ডার ইসমাইল কানি তাঁর বাহিনী থেকে লোকজনকে বহিষ্কার করছেন, গ্রেপ্তার করছেন এবং এমনকি কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হতে পারে। |
আন্তর্জাতিক |
সর্বশেষ |
xxxxxxxxxxxxxxxxx |