অনলাইন ডেস্ক উত্তরায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে র্যাব-পুলিশের পাল্টাপাল্টি রাজধানীর উত্তরা-আজমপুর এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আহত হয়ে ৫০ জনের বেশি হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও আছেন।
সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরা-আজমপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিহত হন। অপর নিহত দুইজনসহ কারও নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
সংঘর্ষের সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও র্যাব। আন্দোলনকারীরা হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ও র্যাব তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
|