☰ |
|
রাজনীতি |
প্রতিবেদক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- জিকে শামীমের সহযোগী সাত দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন। জিকে শামীমের অস্ত্র মামলায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন। এছাড়া অন্য আসামিরা নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ঙ)/২১/২৩ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। এদিকে রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় জি কে শামীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কেন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্বার্থের জন্য আমার সিন্ডিকেটের লোকজন আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আদালত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’ তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘এ রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।’ |
রাজনীতি |
সর্বশেষ |
xxxxxxxxxxxxxxxxx |